ডিজিটাল ই সেবা
এমপাওয়ারিং নেক্সট জেনারেশন' স্লোগানে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত পাঁচ দিনব্যাপী বেসিস সফটএক্সপো গতকাল শেষ হয়েছে। দেশ-বিদেশের প্রায় ১৪০টি প্রতিষ্ঠান এ প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়ায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক স্বার্থ ও সুবিধা যাচাই করার পাশাপাশি দেশের সফটওয়্যার খাতে বিদেশি বিনিয়োগের সম্ভাবনাও সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। গতকাল সকালে সফটওয়্যার প্রদর্শনীর পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয় 'ই-গভন্যান্স সেবা পরিচালনার সম্ভাবনা', 'জাতীয় পোর্টাল কাঠামোর ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা' ও 'আইএসও ২০০০০ এবং আইএসও ২৭০০১' বিষয়ক সেমিনার।
ডিজিটাল সেন্টার হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদে স্থাপিত তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর একটি অত্যাধুনিক তথ্য ওজ্ঞানকেন্দ্র(টেলিসেন্টার) যার উদ্দেশ্য হলো তৃণমূল মানুষের দোরগোড়ায়তথ্যসেবা নিশ্চিত করা। এ কেন্দ্র থেকে গ্রামীণ জনপদের মানুষ খুব সহজেইতাদের বাড়ীর কাছে পরিচিত পরিবেশে জীবন ও জীবিকাভিত্তিক তথ্য ও প্রয়োজনীয়সেবা পায়।
গত ১১ নভেম্বর ২০১০ মাননীয়প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয় থেকে এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)’রপ্রশাসক ও নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিস হেলেন ক্লার্ক ভোলাজেলার চর কুকরিমুকরি ইউনিয়ন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশের সকল ডিজিটাল সেন্টার একযোগে উদ্বোধন করেন। এ সকল কেন্দ্রথেকে মাসে প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ তথ্য ও সেবা গ্রহণ করছে। ডিজিটাল সেন্টার মাধ্যমেসহজে, দ্রুত ও কম খরচে সরকারি ও বেসরকারি সেবা পাবার মাধ্যমে স্থানীয়জনগণের জীবনমানের ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে।
‘জনগণেরদোড়গোড়ায় সেবা’ (Service at Doorsteps)-এ ম্লোগানকে সামনে রেখে ডিজিটাল সেন্টারর যাত্রা শুরু হয়। ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠার ফলে সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রতিটিক্ষেত্রে একটি অবাধ তথ্য প্রবাহ সৃষ্টি করা সম্ভবপরহয়েছে, যেখানে মানুষকেআরসেবার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হচ্ছে না, বরং সেবাই পৌঁছেযাচ্ছেমানুষেরদোরগোড়ায়। অবাধ তথ্য প্রবাহ জনগনের ক্ষমতায়নের অন্যতমপূর্বশর্ত। দেশের ৪,৫০১টি ইউনিয়ন পরিষদে তথ্য ও সেবাকেন্দ্র স্থাপনের ফলেগ্রামীণ জনগণের অবাধ তথ্য প্রবাহে অংশগ্রহণসহ দ্রুততম সময়ে তথ্য ও সেবাপাওয়ার পথ সুগম হয়েছে।
উপকরণ:
এলাকারসর্বসাধারণের জন্য উন্নত তথ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি ডিজিটাল সেন্টার এ একাধিক কম্পিউটার ও সংশ্লিষ্ট উপকরণ রয়েছে, যা পর্যায়ক্রমে স্থাপন করাহয়েছে এবং হচ্ছে। ডিজিটাল সেন্টার প্রয়োজনীয় উপকরণ আসে উদ্যোক্তার বিনিয়োগ এবংইউনিয়ন পরিষদের তহবিল (রাজস্ব খাত ও এলজিএসপি প্রকল্প) থেকে। নূন্যতমস্ট্যাবিলাইজারসহ একটি কম্পিউটার, একটি সাদাকালো প্রিন্টার, একটি কালারপ্রিন্টার, অন-লাইন সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি মডেম, একটি স্ক্যানার, একটিডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে একটি ডিজিটাল সেন্টার-এর কার্যক্রম প্রাথমিকভাবে শুরু করাসম্ভব। তবে পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল সেন্টার পরিচালনার জন্য নিম্ন লিখিত উপকরণ দরকার -
স্থানীয় চাহিদার ভিত্তিতে কোন ডিজিটাল সেন্টার এর উপরকরণ এর চেয়ে কম বা বেশি থাকতে পারে।
ডিজিটাল সেন্টার স্থাপিত হয়েছে পিপিপিপি (পাবলিক-প্রাইভেট-পিপলসপার্টনারশীপ) মডেলের উপর ভিত্তি করে। প্রতিটি ডিজিটাল সেন্টার দু’জন করে স্থানীয়তরুন উদ্যোক্তা রয়েছে, যাদের মধ্যে একজন পুরুষ ও একজন নারী। এউদ্যোক্তারাই ডিজিটাল সেন্টার পরিচালনা করে থাকেন। কিছু কিছু কেন্দ্রে একজন নারী ওএকজন পুরুষ উদ্যোক্তার পাশাপাশি আরো একজন করে নারী ও পুরুষ‘বিকল্পউদ্যোক্তা’ হিসেবে কাজ করছে।উদ্যোক্তা ডিজিটাল সেন্টার’র বেতনভুক্ত কর্মী নন, প্রতিটি ইউআইএসসি’র আয়-ই উদ্যোক্তার আয়। ডিজিটাল সেন্টার এ উদ্যোক্তা একজনবিনিয়োগকারীও বটে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS